Use APKPure App
Get ২১ শে ফেব্রুয়ারি | ইতিহাস কবিতা SMS ও আলোচনা old version APK for Android
২১ শে ফেব্রুয়ারি | ইতিহাস কবিতা SMS ও আলোচনা
💡২১ শে ফেব্রুয়ারি | ইতিহাস কবিতা SMS ও আলোচনা |
📖 আমাদের জাতিসত্তার প্রথম পরিচয় ১৯৫২ সালের মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। যদিও এই ঘটনার অনেক আগে ১২০২ সালে এই দেশ মুসলমান শাসকদের দখলে ছিল। তখন যারা মুসলমান ধর্মগ্রহণ করেছিল আমরা তাদের বংশধর।
কিন্তু মুসলমান হওয়ার অনেক অনেক আগে থেকে জাতিগতভাবে আমরা বাঙালি হয়ে আছি। সে ক্ষেত্রে আমরা পূর্ব থেকেই জাতিগতভাবে বাঙালি এই নৃতাত্তি্বক সত্য মানতেই হবে। একুশে ফেব্রুয়ারি, মানে একুশ। এই শব্দে অন্তর্নিহিত আছে আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চেতনা। আমরা যা কিছু ঐতিহ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি একুশ তারই উন্মোচন। আমাদের জাতীয় আন্দোলনগুলোর মাঝে ভাষা আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে এক মহান ঘটনা। যাই হোক, প্রসঙ্গ একুশের চেতনায় একুশের কবিতা এবং পরম্পরা। বাংলা কবিতার সঙ্গে রাজনৈতিক চেতনার সম্পৃক্ততা দীর্ঘ ঐতিহ্যের স্মারক।
১৯৪৭ সালে ধর্মভিত্তিক ভারত বিভক্তির প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের একটি ভূখ- হিসাবে পূর্ব বাংলা স্থিত হয়। তখন এই অঞ্চলের ৯০-৯২ শতাংশ মানুষই বাঙালি আর সমগ্র পাকিস্তানের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ কথা বলতো বাংলায়। ১৯৪৮ সালে ভাষার জন্য প্রথম আন্দোলন হয় কিন্তু তা পরিপূর্ণভাবে সফল হতে পারেনি । অর্থাৎ ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতা হয়তো রাজনৈতিক অনেক কারণ হিসাবে আখ্যায়িত। তারপর ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন ঘোষণা করেন যে, 'উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হতে যাচ্ছে'।
তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘট ও মিছিল বের হয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা শিক্ষায়তনে এবং এক পর্যায়ে তা বিশাল আন্দোলনের রূপ পায়। এতে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে অনেক শ্রেণীর মানুষ আহত ও নিহত হয়েছে ভাষার জন্য। এভাবে অনেক রক্ত আর প্রাণহানির মধ্য দিয়ে আমরা বাঙালিরা ফিরে পাই আমাদের মুখের মধুর ভাষা বাংলা ভাষা। অর্থাৎ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। যদিও ১৯৪৭ সালের পর পাকিস্তান শাসক চক্র শোষণ ও নিপীড়নের জন্য ভাষাগত সাংস্কৃতিক আঘাতটিকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয় বাঙালির ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারকে ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে। তখন ১৯৪৭-১৯৫১ পর্যন্ত আমাদের কবিতা ছিল ইসলামী ভাবধারায় প্রভাবিত। তখন বাংলা ভাষায় রচিত কবিতা হারাতে থাকে নিজস্বতা। কবিতা জুড়ে বসে সাম্প্রদায়িক চেতনা।
অর্থাৎ সে সময়কার কবিতায় বিষয়গত স্থান দখল করেছিল ইসলাম, মানে ইসলামী বিষয়ে কবিতা লেখা। এদের মধ্যে প্রধান ছিলেন সে সময়কার কবি গোলাম মোস্তফা, ফররুখ আহমদ, ছদরুদ্দীন, সুফী জুলফিকার হায়দার প্রমুখ। তাই সে সময় কবিতাকে বলা হতো প্রগতিবিমুখ, অনাধুনিক এবং অনুর্বর। গবেষকরা অবশ্য সে সময়টাকে বাংলা ভাষার 'সাহিত্যিক-শৈল্পিক বন্ধ্যাত্ব' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তখন এই ভাষা আন্দোলনই সাহিত্যিক বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তির উজ্জ্বল সিঁড়ি ছিল। এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অনেক কবিতা লেখা হয়েছে। সেই সব কবিতায় ইসলামী মূল্যবোধের চেয়ে দেখা গেছে মানবতাবোধ, দেশজ উত্তরাধিকার, মাতৃভাষার প্রতি মমত্ববোধ সর্বপোরি অসম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি। এই ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হচ্ছে ১৯৫৩ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত প্রথম একুশের সংকলন 'একুশে ফেব্রুয়ারি' যা বাঙালির স্বাধিকার বোধের প্রথম উন্মেষ। ভবিষ্যতের উত্তরসূরিদের কাছে একুশের সংগ্রামী দিনের তাৎপর্য কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা সঠিকভাবে তুলে ধরতে না পারলে, যথাযথ দলিল লিপিবদ্ধ করে যেতে না পারলে সেটা হবে আমাদের কলঙ্ক, ব্যর্থতা আর মূঢ়তারই পরিচায়ক। এই সরল সত্যটাকে উপলব্ধি করে হাসান হাফিজুর রহমান ঝাঁপিয়ে পরেন তার এই সঙ্কলনের আরাধ্য কাজে। কোনো বাধাকে বাধা বলে মানেননি। কেন না একুশ ছিল আমাদের স্বাধীনতার প্রথম অঙ্কুরোদগম। তাঁর এই সঙ্কলনে অনেকেই কবিতা লিখেছেন তাঁদের কবিতার শিরোনাম ছিল 'একুশের কবিতা' এই সঙ্কলনের মূল্যায়নে আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেছেন, হাসান হাফিজুর রহমান- এই আন্দোলনের আঘাতে যেভাবে সাড়া দিলেন তার ভেতরে বাংলাদেশের তৎকালীন সমাজ মানুষের একটা চেহারা উৎকীর্ণ। তাঁর এই সঙ্কলনটি তৎকালীন সময়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। হাসান হাফিজুর রহমানের সঙ্কলনটি ছাড়াও বিশেষ উল্লেখ করা চলে তা হলো কবি আজিজুল হাকিম ও কবি আবদুর রশিদ ওয়াসেক পুরী সম্পাদিত 'একুশের কবিতা' (প্রকাশ ১৯৫৪ একুশে ফেব্রুয়ারি) এটি ছিল ২৫ পৃষ্ঠার ছোট কবিতা সঙ্কলন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, এই সঙ্কলনের অনেক কবিতা ১৯৫২ সালে রচিত এবং সাপ্তাহিক 'সৈনিক' পত্রিকায় তৎকালেই প্রকাশিত হয়।
Android ज़रूरी है
4.4 and up
श्रेणी
रिपोर्ट
Last updated on Feb 4, 2020
Minor bug fixes and improvements. Install or update to the newest version to check it out!
২১ শে ফেব্রুয়ারি | ইতিহাস কবিতা SMS ও আলোচনা
1.0.0 by DaAppZone
Feb 4, 2020